কীভাবে গ্রামের মেয়েরা শুধু স্মার্টফোন দিয়ে কোডিং শিখছে — বাংলাদেশের গ্রামে ডিজিটাল বিপ্লব
ভূমিকা: যে মেয়ে গাছের নিচে কোড লিখে
গাইবান্ধার এক গ্রামে, একটি বটবৃক্ষের নীরব ছায়ায়, ১৫ বছর বয়সী অঞ্জলি একটি পুরানো সুতির চাদরে হাঁটু গেড়ে বসে। তার ফোন — একটি দ্বিতীয় হাতের অ্যান্ড্রয়েড, যার স্ক্রিনে ফাটল ধরেছে — তার হাঁটুর উপর রয়েছে। ব্যাটারি ১২%। নেটওয়ার্ক সিগনাল ১জি আর ৩জির মধ্যে দোল খাচ্ছে।
সে Grasshopper নামের একটি অ্যাপ খুলল।
সে একটি ব্লক ট্যাপ করল।
সবুজ টিক চিহ্ন এল।
সে হাসল।
এটিই তার ক্লাসরুম।
তার শিক্ষক? একটি বিনামূল্যে অ্যাপ।
তার বই? একটি ১০ মিনিটের ইউটিউব টিউটোরিয়াল।
তার সহপাঠী? তিনটি ভিন্ন গ্রাম থেকে আসা ১২টি মেয়ের একটি ওয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ।
অঞ্জলির কাছে ল্যাপটপ নেই।
ওয়াইফাই নেই।
তার জেলায় কোডিং একাডেমি নেই।
কিন্তু তার কাছে আছে আরও শক্তিশালী কিছু: কৌতূহল।
এবং বাংলাদেশ জুড়ে — নোয়াখালির ধানের খেত থেকে শুরু করে সিলেটের চা বাগান পর্যন্ত — অঞ্জলির মতো শত শত মেয়ে একই কাজ করছে।
তারা অনুমতির জন্য অপেক্ষা করছে না।
তারা অবকাঠামোর জন্য অপেক্ষা করছে না।
তারা কারও জন্য স্কুল তৈরি করতে বলছে না।
তারা নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ছে — একটি স্মার্টফোন আর একটি স্বপ্ন দিয়ে।
এটি বিজ্ঞান কল্পকাহিনী নয়।
এটি বাস্তব।
এবং এটি এখনই ঘটছে।
Leave a Reply
Your email address will not be published. Required fields are marked *




.webp)
 (1080 x 1080 px).webp)
.webp)
.webp)
.webp)