বাংলাদেশে আপনার বাড়ির রান্নাঘরকে লাভজনক বেবি ফুড ব্যবসায় পরিণত করুন
ভূমিকা: যে রান্নাঘর শুধু একটি বাচ্চাকে নয়, অনেকের খাওয়ায়
প্রতিদিন সকাল ৫টায়, ঢাকা শহর রিকশার হর্ন এবং রাস্তার বিক্রেতাদের শব্দে জেগে ওঠার আগে, একটি নীরব রীতি শুরু হয়।
মিরপুরের একটি ভাড়াটে অ্যাপার্টমেন্টের পর্দার পিছনে একটি ছোট রান্নাঘরে, একজন তরুণ মা একটি পাত্রে কুমড়ো ও মসুর ডাল গ্যাস স্টোভে গরম করেন। তিনি ধীরে ধীরে মিশিয়ে চলেন, বাষ্পের উঠতে দেখেন। তিনি স্বাদ নেন। সামঞ্জস্য করেন। গরম মাশ একটি ছোট কাঁচের জারে ঢালেন। লেবেল লাগান: “কুমড়ো + মসুর ডাল – ৬+ মাস – ভালোবাসা দিয়ে তৈরি।”
তিনি এটি একটি কাপড়ের ব্যাগে প্যাক করেন। পনেরো মিনিট হেঁটে মেট্রো স্টেশনে যান। উত্তারার এক নতুন মায়ের কাছে ডেলিভারি করেন।
এটি কোনো ফ্যাক্টরি নয়।
এটি কোনো রেস্তোরাঁ নয়।
এটি একটি বাড়িভিত্তিক বেবি ফুড ব্যবসা — যা আকাঙ্ক্ষা নয়, বরং প্রয়োজনের ফলে জন্ম নিয়েছে।
এবং এটি বাড়ছে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে — চট্টগ্রামের গলিতে, সিলেটের ছাদে, রাজশাহীর বাগানে — শত শত মা একই কাজ করছেন।
তারা আমদানি করা পিউরি বিক্রি করছেন না।
তারা পশ্চিমা ব্র্যান্ড কপি করছেন না।
তারা তৈরি করছেন বাস্তব খাবার — হলুদ, কুমড়ো, ডাল, পালংশাক, নারকেলের দুধ দিয়ে — যে খাবার তাদের নিজেদের দাদীরা তৈরি করতেন।
এবং তাদের গ্রাহকরা?
অন্য মায়েরা।
যারা রাসায়নিক-ভরা বেবি ফুডের ক্লান্ত।
যারা জানতে চান যে তাদের বাচ্চার বাটিতে কী আছে।
যারা বিশ্বাস করে — যেমন তারা করে — যে ভালোবাসা দিয়ে তৈরি খাবারই প্রথম ঔষধ।
এটি একটি ট্রেন্ড নয়।
এটি একটি নীরব বিপ্লব।
এবং আপনি — হ্যাঁ, আপনি — এর অংশ হতে পারেন।
আপনার ডিগ্রির দরকার নেই।
আপনার ঋণের দরকার নেই।
আপনার আপনার শিশুকে ছেড়ে যাওয়ার দরকার নেই।
Leave a Reply
Your email address will not be published. Required fields are marked *




.webp)
 (1080 x 1080 px).webp)
.webp)
.webp)
.webp)