মাথার ত্বক বা স্ক্যাল্পের চুলকানি ও জ্বালাপোড়া? সুস্থ চুলের জন্য ১০টি কার্যকরী ও আধুনিক সমাধান
চুলকানি যখন বিড়ম্বনার কারণ
সেবোরিক ডার্মাটাইটিস (Seborrheic Dermatitis): এটি খুশকিরই এক ভয়াবহ রূপ। এতে স্ক্যাল্প লাল হয়ে যায়, প্রচুর চুলকায় এবং তেলতেলে হলুদ রঙের খুশকি ওঠে। আমাদের দেশে ফাঙ্গাল ইনফেকশনের কারণে এটি বেশি হয়। পণ্য জমে থাকা (Product Build-up): আমরা চুল সিল্কি করতে বা স্টাইল করতে যেসব সিরাম, জেল বা হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করি, সেগুলো ঠিকমতো পরিষ্কার না করলে চুলের গোড়ায় জমে শক্ত স্তর তৈরি করে। এতে স্ক্যাল্প শ্বাস নিতে পারে না এবং চুলকানি শুরু হয়। ঢাকার পানি ও দূষণ: ঢাকার ট্যাপের পানিতে আয়রন এবং ক্লোরিনের পরিমাণ অনেক বেশি। এই 'হার্ড ওয়াটার' স্ক্যাল্পকে রুক্ষ করে দেয়। তার ওপর বাতাসের ধূলিকণা ঘামের সাথে মিশে চুলের গোড়ায় ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে। শুষ্ক ত্বক (Dry Scalp): বিশেষ করে শীতকালে স্ক্যাল্পের প্রাকৃতিক তেল বা সিবাম কমে যায়। তখন ত্বক ফেটে যায় এবং অসম্ভব চুলকায়। হিজাব বা হেলমেট: আমাদের দেশের অনেক নারী হিজাব পরেন এবং পুরুষরা বাইক চালানোর সময় হেলমেট ব্যবহার করেন। দীর্ঘক্ষণ বাতাস চলাচল না করায় ঘাম জমে ফাঙ্গাস তৈরির আদর্শ পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
অ্যালোভেরা জেলের জাদু: অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী হলো স্ক্যাল্পের জন্য সেরা প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। গাছ থেকে তাজা জেল বের করে ব্লেন্ড করে নিন। স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। এটি তাৎক্ষণিকভাবে জ্বালাপোড়া কমায় এবং ত্বককে হাইড্রেট করে। ২০২৫ সালে এসেও এই প্রাচীন পদ্ধতি সেরা কাজ করে। অ্যাপল সাইডার ভিনেগার (ACV) রিন্স: স্ক্যাল্পের পিএইচ (pH) ব্যালেন্স ঠিক করতে এর জুড়ি নেই। শ্যাম্পু করার পর এক মগ পানিতে ২ চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে চুলে ঢেলে দিন। এটি স্ক্যাল্পের চুলকানি কমায় এবং চুলের চকচকে ভাব ফিরিয়ে আনে। টি-ট্রি অয়েল (Tea Tree Oil) থেরাপি: টি-ট্রি অয়েলে আছে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ। তবে সাবধান! এটি সরাসরি লাগাবেন না। নারিকেল তেলের সাথে ২-৩ ফোঁটা মিশিয়ে ম্যাসাজ করুন। এটি খুশকি এবং ইরিটেশনের যম।
ভুল: খুব ভারী তেল (যেমন ক্যাস্টর অয়েল) ইরিটেটেড স্ক্যাল্পে দিলে লোমকূপ বন্ধ হয়ে হিতে বিপরীত হতে পারে। সঠিক: হালকা গরম নারিকেল তেল বা জোজোবা অয়েল ব্যবহার করুন। ম্যাসাজ করার সময় নখ দিয়ে ঘষবেন না, আঙুলের ডগা দিয়ে আলতো করে ম্যাসাজ করবেন। এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে।
সালফেট ও প্যারাবেন ফ্রি: সোডিয়াম লরাইল সালফেট (SLS) ফেনা বেশি তৈরি করে কিন্তু স্ক্যাল্পের ন্যাচারাল অয়েল ধুয়ে ফেলে ত্বককে খসখসে করে দেয়। তাই মাইল্ড শ্যাম্পু বা 'সালফেট-ফ্রি' শ্যাম্পু বেছে নিন। মেডিকেটেড শ্যাম্পু: যদি খুশকি বা সেবোরিক ডার্মাটাইটিস বেশি হয়, তবে জিঙ্ক পাইরিথিয়ন (Zinc Pyrithione), কিটোকোনাজল (Ketoconazole) বা স্যালিসাইলিক অ্যাসিড যুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এগুলো ফাঙ্গাস ধ্বংস করে।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: আমাদের প্রিয় ইলিশ মাছে প্রচুর ওমেগা-৩ আছে। এছাড়াও ফ্ল্যাক্স সিড (তিসি), আখরোট এবং সামুদ্রিক মাছ খান। এটি স্ক্যাল্পের প্রদাহ কমায়। পানি ও ডিটক্স: শীতকালে আমরা পানি কম খাই, যা স্ক্যাল্প ড্রাই করে দেয়। দিনে অন্তত ৩ লিটার পানি পান করুন। চিনি কমান: অতিরিক্ত চিনি শরীরে ফাঙ্গাস বা ইস্টের গ্রোথ বাড়িয়ে দেয়। তাই মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খান।
হিজাব: সিনথেটিক কাপড়ের বদলে সুতি বা ভয়েল কাপড়ের হিজাব ব্যবহার করুন। চুল ভেজা অবস্থায় হিজাব বাঁধবে না। প্রতিদিনের হিজাব বা ইনার ক্যাপ ধুয়ে পরিষ্কার রাখুন। হেলমেট: হেলমেটের ভেতরে একটি সুতি রুমাল বা ক্যাপ ব্যবহার করুন। হেলমেটের প্যাডিং নিয়মিত পরিষ্কার করুন বা রোদে দিন।
স্ক্যাল্প স্ক্রাব: সপ্তাহে একদিন চুলে শ্যাম্পু করার আগে স্ক্যাল্প স্ক্রাব ব্যবহার করলে মরা চামড়া এবং জমে থাকা ময়লা দূর হয়। স্ক্যাল্প সিরাম: হায়ালুরোনিক অ্যাসিড বা পেপটাইড যুক্ত স্ক্যাল্প সিরাম এখন বেশ জনপ্রিয়, যা চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায় এবং ত্বককে শান্ত রাখে।
আপনার স্ক্যাল্পের সুরক্ষায় বিশ্বস্ত সঙ্গী
মাথার ত্বকের ইরিটেশন বা চুলকানি দূর করার জন্য সেরা মানের টি-ট্রি অয়েল শ্যাম্পু, স্ক্যাল্প সিরাম, এবং ডার্মাটোলজিস্ট রিকমেন্ডেড ব্র্যান্ডের অথেনটিক হেয়ার কেয়ার পণ্য কিনতে আজই ভিজিট করুন **TrustShopBD (www.trustshopbd.com)**। এখানে আপনি পাবেন আপনার চুলের সমস্যা অনুযায়ী সেরা সব সলিউশন, যা ১০০% অরিজিনাল এবং কার্যকরী।
Leave a Reply
Your email address will not be published. Required fields are marked *




.webp)
 (1080 x 1080 px).webp)
.webp)
.webp)
.webp)