মুখের বড় লোমকূপ বা পোরস নিয়ে চিন্তিত? জানুন পোরস মিনিমাইজ করে কাঁচের মতো স্বচ্ছ ত্বক পাওয়ার ১০টি জাদুকরী উপায়
কমলালেবুর খোসা নাকি মসৃণ ত্বক?
অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ: আমাদের আবহাওয়া গরম ও ভ্যাপসা। ফলে আমাদের ত্বকের 'সিবেসিয়াস গ্ল্যান্ড' অতিরিক্ত তেল উৎপাদন করে। এই তেল যখন পোরস দিয়ে বের হতে চায়, তখন পোরসের মুখ বড় হয়ে যায়। ইলাস্টিসিটি কমে যাওয়া: বয়স বাড়ার সাথে সাথে বা রোদে পুড়লে ত্বকের কোলাজেন নষ্ট হয়ে যায়। তখন পোরসের চারপাশের চামড়া ঝুলে পড়ে এবং পোরসগুলো বড় দেখায়। ভুল প্রসাধনী ও অপরিচ্ছন্নতা: মেকআপ না তুলে ঘুমানো বা ঠিকমতো মুখ পরিষ্কার না করলে ধুলো আর তেল জমে পোরস ক্লগ (Clog) হয়ে যায়, যা পরে ব্ল্যাকহেডস ও বড় পোরসের সৃষ্টি করে। বংশগত: মা-বাবার ত্বক যদি অয়েলি হয় বা পোরস বড় থাকে, তবে আপনারও তা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
ধাপ ১: ডাবল ক্লিনজিং (সবচেয়ে জরুরি) বাংলাদেশের দূষণে শুধু ফেসওয়াশ যথেষ্ট নয়। রাতে প্রথমে একটি অয়েল ক্লিনজার বা মাইসেলার ওয়াটার দিয়ে মেকআপ ও সানস্ক্রিন তুলুন। এরপর স্যালিসাইলিক অ্যাসিড (Salicylic Acid) যুক্ত ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোন। স্যালিসাইলিক অ্যাসিড পোরসের গভীরে গিয়ে জমে থাকা ময়লা বের করে আনে। ধাপ ২: টনিং (অ্যালকোহল মুক্ত) আগেকার দিনের মতো কড়া টোনার এখন আর চলে না। পোরস মিনিমাইজ করার জন্য 'উইচ হেজেল' (Witch Hazel) বা 'গ্রিন টি' যুক্ত টোনার ব্যবহার করুন। এটি ত্বককে সতেজ করে এবং পোরস টাইট করতে সাহায্য করে। ধাপ ৩: নিয়াসিনামাইড (Niacinamide) সিরাম - গেম চেঞ্জার যদি পোরস ছোট করার জন্য কোনো একটি উপাদান বেছে নিতে হয়, তবে সেটি হবে নিয়াসিনামাইড। এটি ভিটামিন বি-৩। এটি ত্বকের তেলের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে এবং পোরসের ইলাস্টিসিটি বাড়ায়। ১০% নিয়াসিনামাইড সিরাম নিয়মিত ব্যবহারে ১ মাসের মধ্যে পরিবর্তন চোখে পড়বে। ধাপ ৪: এক্সফোলিয়েশন (ঘষামাজা নয়!) দানাযুক্ত স্ক্রাব (যেমন অ্যাপ্রিকট বা আখরোটের গুঁড়ো) দিয়ে জোরে জোরে ঘষলে পোরস আরও বড় হয়ে যায়। এর বদলে ব্যবহার করুন কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েটর যেমন BHA (Beta Hydroxy Acid)। সপ্তাহে ২ বার BHA লিকুইড ব্যবহার করলে ব্ল্যাকহেডস দূর হবে এবং পোরস ক্লিয়ার থাকবে। ধাপ ৫: সানস্ক্রিন ও ময়েশ্চারাইজার অনেকে ভাবেন অয়েলি স্কিনে ময়েশ্চারাইজার লাগে না। ভুল! ত্বক ডিহাইড্রেটেড হলে পোরস আরও বড় দেখায়। তাই জেল বেসড হালকা ময়েশ্চারাইজার এবং ম্যাট ফিনিশ সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। রোদের ইউভি (UV) রশ্মি কোলাজেন ভেঙে দিয়ে পোরস বড় করে দেয়, তাই সানস্ক্রিন মাস্ট।
চিনি ও দুগ্ধজাত খাবার কমান: অতিরিক্ত চিনি এবং দুধের তৈরি খাবার ইনসুলিন লেভেল বাড়িয়ে দেয়, যা সিবাম বা তেলের উৎপাদন বাড়ায়। প্রচুর পানি: শরীর হাইড্রেটেড থাকলে ত্বক পলাম্প (Plump) থাকে এবং পোরস ছোট দেখায়। বালিশের কভার: সপ্তাহে অন্তত একবার বালিশের কভার পরিবর্তন করুন। চুলে তেল বা খুশকি থাকলে তা বালিশের মাধ্যমে মুখে লাগে এবং পোরস ক্লগ করে।
নখ দিয়ে খোঁটাখুঁটি: ব্ল্যাকহেডস বা পোরস নখ দিয়ে টিপবেন না। এতে গর্ত স্থায়ী হয়ে যেতে পারে। গরম পানি: মুখ ধোয়ার সময় খুব গরম পানি ব্যবহার করবেন না। এটি ত্বকের ন্যাচারাল অয়েল সরিয়ে দেয়। কুসুম গরম বা সাধারণ তাপমাত্রার পানি সেরা। ভারী মেকআপ: প্রতিদিন ভারী ফাউন্ডেশন ব্যবহার করলে পোরস শ্বাস নিতে পারে না। চেষ্টা করুন 'নন-কমেডোজেনিক' (Non-comedogenic) বা হালকা মেকআপ ব্যবহার করতে।
আপনার স্কিনকেয়ারের বিশ্বস্ত সঙ্গী
আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী সেরা মানের নিয়াসিনামাইড সিরাম, BHA এক্সফোলিয়েটর, ক্লে মাস্ক এবং ডার্মাটোলজিস্ট রিকমেন্ডেড অরিজিনাল স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট কিনতে আজই ভিজিট করুন **TrustShopBD (www.trustshopbd.com)**। নকল পণ্যের ভিড়ে আমরাই দিচ্ছি ১০০% অথেনটিক এবং কার্যকরী সমাধানের নিশ্চয়তা।
Leave a Reply
Your email address will not be published. Required fields are marked *




.webp)
 (1080 x 1080 px).webp)
.webp)
.webp)
.webp)