দম ফেলার সময় নেই? ব্যস্ত প্রফেশনালদের জন্য সুস্থ থাকার ১০টি কার্যকরী লাইফস্টাইল হ্যাক
সকাল ৭টায় অ্যালার্ম। কোনোমতে নাস্তা মুখে দিয়ে (বা না দিয়ে) উবারের জন্য অপেক্ষা কিংবা বাসের ধাক্কাধাক্কি। এরপর জ্যাম ঠেলে অফিসে পৌঁছাতে না পৌঁছাতেই বসের ডাক। সারাদিন ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে থাকা, দুপুরে ক্যান্টিনের তেলযুক্ত খাবার বা বাইরের বিরিয়ানি, আর বিকেলে কলিগদের সাথে ধোঁয়া ওঠা এক কাপ চা আর সিঙ্গারা। অফিস শেষে আবার জ্যাম ঠেলে বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত ১০টা। শরীর তখন আর চলে না, কিন্তু মনের ক্লান্তি দূর করতে শুয়ে শুয়ে ফেসবুক বা রিলস স্ক্রল করতে করতে রাত ২টা বেজে যায়।
১. সকালের শুরুটা হোক জাদুকরী (Don't Skip Breakfast)
সমাধান: সকালে ভারী কিছু খেতে না পারলে অন্তত দুটো সেদ্ধ ডিম, একটা কলা বা এক মুঠো ভেজানো ছোলা খেয়ে নিন। ওটস (Oats) হতে পারে দারুণ সমাধান—বানাতে সময় লাগে না, পেটও ভরা থাকে। সকালে প্রোটিন খেলে সারাদিন এনার্জি লেভেল ঠিক থাকে।
২. অফিসের লাঞ্চ: বিরিয়ানি নাকি বাসার খাবার?
টিফিন কালচার: ছোটবেলার মতো আবার টিফিন ক্যারিয়ার ব্যবহার শুরু করুন। বাসা থেকে অল্প ভাত, বেশি করে সবজি আর মাছ/মাংস নিয়ে যান। পোর্শন কন্ট্রোল: যদি বাইরের খাবার খেতেই হয়, তবে ভাতের পরিমাণ কমিয়ে দিন। সালাদ বা সবজি বেশি নিন। মনে রাখবেন, বাঙালির প্রধান শত্রু ভাত নয়, ভাতের পরিমাণ।
৩. বিকেলের নাস্তা: সিঙ্গারা-সমুচা ট্র্যাপ
স্মার্ট বিকল্প: আপনার ডেস্কের ড্রয়ারে সবসময় কিছু ড্রাই ফ্রুটস (কাঠবাদাম, কাজু, কিসমিস) বা বিস্কুট (সুগার-ফ্রি) রাখুন। খিদে পেলে এগুলো খান। দুধ চায়ের বদলে গ্রিন টি বা রং চা (চিনি ছাড়া) অভ্যেস করুন। শুরুতে খারাপ লাগবে, কিন্তু এক সপ্তাহ পর দেখবেন শরীর কত হালকা লাগছে।
৪. পানি খান, হাইড্রেটেড থাকুন
হ্যাক: আপনার ডেস্কে সবসময় একটা সুন্দর পানির বোতল রাখুন। লক্ষ্য ঠিক করুন—লাঞ্চের আগে ১ লিটার এবং লাঞ্চের পরে ১ লিটার পানি শেষ করবেন। এখন অনেক অ্যাপ আছে যা মনে করিয়ে দেয় পানি খাওয়ার কথা, সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
৫. "সিটিং ডিজিজ" থেকে বাঁচুন (Move More)
ডেস্ক এক্সারসাইজ: প্রতি ১ ঘণ্টা পর পর ৫ মিনিটের ব্রেক নিন। ওয়াশরুমে হেঁটে আসুন বা বারান্দায় যান। লিফট বনাম সিঁড়ি: অফিস যদি ৫-৬ তলায় হয়, তবে লিফটের মায়া ত্যাগ করুন। সিঁড়ি দিয়ে ওঠা আপনার হার্টের জন্য সেরা এক্সারসাইজ। স্ট্যান্ডিং মিটিং: কলিগদের সাথে ছোটখাটো মিটিং দাঁড়িয়ে বা হাঁটতে হাঁটতে করুন।
৬. চোখের যত্ন ও ডিজিটাল ডিটক্স
২০-২০-২০ রুল: প্রতি ২০ মিনিট পর, ২০ ফুট দূরের কোনো কিছুর দিকে ২০ সেকেন্ড তাকিয়ে থাকুন। এতে চোখের মাসল রিল্যাক্স হয়। ব্লু-লাইট চশমা: কম্পিউটারে কাজ করার সময় ব্লু-লাইট প্রোটেকশন গ্লাস ব্যবহার করতে পারেন।
৭. ট্রাফিক জ্যামকে কাজে লাগান
মেন্টাল পিস: গাড়িতে বসে মেডিটেশন মিউজিক বা পডকাস্ট শুনুন। অডিও বুক: বই পড়ার সময় পান না? জ্যামে বসে অডিও বুক শুনুন। এতে মানসিক চাপ কমে।
৮. ঘুমের সাথে আপোষ নয় (Sleep Hygiene)
নো ফোন জোন: ঘুমানোর অন্তত ৩০ মিনিট আগে ফোন দূরে রাখুন। স্ক্রিনের আলো মেলাটোনিন হরমোন কমিয়ে দেয়, ফলে ঘুম আসতে দেরি হয়। নির্দিষ্ট সময়: প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। ভালো ঘুম হলে পরের দিন কাজে মনোযোগ দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
৯. "না" বলতে শিখুন (Stress Management)
১০. সপ্তাহ শেষে একটু "নিজের সময়"
উপসংহার
Leave a Reply
Your email address will not be published. Required fields are marked *




.webp)
 (1080 x 1080 px).webp)
.webp)
.webp)
.webp)